‘সহ–অধিনায়ক’ মুশফিক, ‘অধিনায়ক’ নাসির


অনুশীলন শেষে দুজনই কথা বললেন প্রায় কাছাকাছি সময়ে। গোধূলিবেলায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তাঁদের একজনকে বলতে হলো বিপিএলে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার রোমাঞ্চ নিয়ে। আরেকজন জানালেন, অধিনায়ক থেকে সহ-অধিনায়ক হওয়ার ব্যাপারে নিজস্ব ভাবনা।
নাসির হোসেন আগে কখনো বিপিএলে অধিনায়কত্ব করেছেন কি না, তা খুঁজে বের করা বেশ কঠিনই। শেষ পর্যন্ত পরিসংখ্যান জানাল, বিপিএলে নাসির এর আগে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাত্র দুই ম্যাচে। ২০১৩ বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে ঢাকার বিপক্ষে অধিনায়কত্ব করেছিলেন। আরেকটি ২০১৫ বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে। দুই ম্যাচেই হেরেছিল তাঁর দল। এ দুই ম্যাচেই অধিনায়ক নাসিরের ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ রান।
মুশফিকুর রহিম বিপিএলে কখনো সহ-অধিনায়ক হিসেবে খেলেছেন কি না, সেটি বের করাও কঠিন। তবে নেতৃত্বের চাপে নুইয়ে পড়ে টুর্নামেন্টের মাঝে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা তাঁর আছে। তবুও বিপিএলে ৪৬ ম্যাচের ৪২টিতেই মুশফিক খেলেছেন অধিনায়ক হিসেবে। দীর্ঘদিন ধরে সবাই যাঁকে অধিনায়ক হিসেবেই দেখে অভ্যস্ত, সেই মুশফিক এবার রাজশাহী কিংসের হয়ে খেলবেন সহ-অধিনায়ক হিসেবে! গতবারের মতো এবারও রাজশাহীকে নেতৃত্ব দেবেন ড্যারেন স্যামি। মুশফিক অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে একটু সংশোধনী দিলেন, ‘আমি তো অনেক দিন জাতীয় দলে একটা সংস্করণের অধিনায়ক!’
তা ঠিক আছে। কিন্তু মুশফিককে সর্বশেষ সহ-অধিনায়ক হিসেবে দেখা গেছে কবে?


সিলেট সিক্সার্সের অনুশীলনে সাব্বিরের সঙ্গে নাসির। অধিনায়কত্ব উপভোগ করতে চান তিনি। ছবি: প্রথম আলোসিলেট সিক্সার্সের নাসিরের কাছে ‘প্রথমবারের মতো বিপিএলে অধিনায়ক হিসেবে খেলার রোমাঞ্চের’ কথা জানতে চাওয়া হলেও মুশফিককে কি আর একই প্রশ্ন করা যায়! ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে তাঁকে এতটুকু জিজ্ঞেস করা হলো, অধিনায়ক থেকে সহ-অধিনায়ক হওয়ার বিষয়টি দেখছেন কীভাবে?
মুখে হাসি ধরে রেখে মুশফিকের উত্তর, ‘প্রতিবছরই ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়। আমি খুশি ও সম্মানিত বোধ করছি, এ বছর রাজশাহীর মতো শক্তিশালী ও ভারসাম্যপূর্ণ দলে খেলতে পারছি। সেখানে ড্যারেন স্যামি নেতৃত্ব দেবে। দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) সে। অনেক কিছু শেখার থাকবে তার কাছ থেকে। অধিনায়ক থাকি না থাকি, পেছন থেকে চেষ্টা করব তাকে সহায়তা করার। সব সময়ই চেষ্টা করি আমাকে যে কাজটা দেওয়া হয়, সেটা শতভাগ করার। এবার যদি সহ-অধিনায়ক হিসেবে দলকে অনেক সহায়তা করতে পারি, সেটা অনেক বড় পাওয়া হবে। চ্যালেঞ্জটা নিতে আমি উন্মুখ হয়ে আছি।’
ঘরোয়া ক্রিকেট কিংবা বিসিবির বিভিন্ন দলে অধিনায়কত্ব করার টুকটাক অভিজ্ঞতা থাকলেও এবারই একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দলকে পুরো টুর্নামেন্টে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নাসির। চাপ নয়, অধিনায়কত্ব তাঁর কাছে যে উপভোগের আরেক নাম, সেটিই বললেন ২৫ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডার, ‘অবশ্যই ভালো লাগছে। অধিনায়কত্ব সব সময় উপভোগ করি। এর আগেও কিছু ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছি। এটা তাই বাড়তি কিছু নয়। এটা আমাদের ঘরের মাঠে (সিলেট) খেলা। দর্শকেরা আমাদের পক্ষে থাকবে। পাশাপাশি চাপেও থাকব। খেলায় তো এসব থাকবেই। আমাদের লক্ষ্য থাকবে ভালো খেলার। ভালো খেললে ফল আমাদের পক্ষে আসবে।’

0 Response to "‘সহ–অধিনায়ক’ মুশফিক, ‘অধিনায়ক’ নাসির"

Post a Comment

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel