সাকিবের ‌‘টি-টোয়েন্টি’


সাকিব আল হাসানের অধিনায়কত্বের দ্বিতীয় পর্বটা শুরু হচ্ছে কাল। এই পর্বের প্রথম সংবাদ সম্মেলনটা টি-টোয়েন্টি ধাঁচেই শুরু করলেন সাকিব আল হাসান। প্রশ্নের ব্যাপ্তি বিশাল, উত্তর ছোট। হোক শুধু টি-টোয়েন্টি সংস্করণ, আবারও বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব পেয়ে কতটা রোমাঞ্চিত? সাকিবের উত্তর, ‘কোনো অনুভূতি নেই!’ কালকের ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা, মাঠের বাইরের বিতর্কিত বিষয় নিয়েও তাঁর উত্তর হলো কাটা-কাটা।
সাকিবের কথায় সংবাদকর্মীদের ‘অ্যাঙ্গেল’ খুঁজে পাওয়া কঠিন হলেও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের কাঁধে সওয়ার হয়েই কাল ব্লুমফন্টেইনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জয় খুঁজবে বাংলাদেশ। কিন্তু কাজটা বাংলাদেশের জন্য কতটা কঠিন, না বললেও চলছে। কেন কঠিন, কিছু বাস্তবতা তুলে ধরলেন সাকিব, ‘চ্যালেঞ্জিং তো হয়ই। অনেকের চোটের সমস্যা। টি-টোয়েন্টির জন্য আলাদা দল হয় না আমাদের। ওয়ানডে-টেস্ট খেলে যারা, বেশির ভাগ তাদেরই দেখা যাচ্ছে এই সংস্করণে। স্বাভাবিকভাবে দল নির্বাচনে ওইভাবে চিন্তার সুযোগও নেই। খেলোয়াড়ই আছে ১৪ জন। এখান থেকেই সেরা একাদশ করতে হবে। আমাদের জন্য এটা ভালো সুযোগও। এ পরিস্থিতিতেও ভালো জায়গায় যেতে পারলে আমাদের চারিত্রিক দৃঢ়তা দেখানো যাবে সবাইকে।’
টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশের কাছে এখনো গোলকধাঁধা। এই সংস্করণে ভালো করতে হলে কী করতে হবে, সেটি অবশ্য অজানা নয় সাকিবের, ‘অন্য দলের মতো খুব একটা বিগ হিটার নেই আমাদের। ছোট ছোট প্রতিটি বিষয় আমাদের ঠিকভাবে করতে হয়। তা না হলে আমাদের জেতা কঠিন হয়ে যায় এই সংস্করণে। তবে বলব না অসম্ভব। আমাদের এক শতাংশ কাজটাও ঠিকভাবে করতে হবে। একটুও ছাড় দেওয়া যাবে না। তা না হলে আমাদের জয়ের সম্ভাবনা কমে যাবে।’
তামিম-মাশরাফি-মোস্তাফিজের অনুপস্থিতে বাংলাদেশ দলে এখন সবচেয়ে বড় ভরসার নাম সাকিব। দলের নেতাও তিনি। দুই চাপে নুইয়ে পড়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। এসব নিয়ে যদিও ভাবতে চাচ্ছেন না সাকিব, ‘যত বেশি চিন্তা করব, তত বেশি ঝামেলা! এই দুটি ম্যাচ দল হিসেবে খেলতে হবে। টি-টোয়েন্টি অনেক ছোট সংস্করণ, এখানে চিন্তা করার সময়ও নেই। এটা আমাদের জন্য ভালো দিক। টেস্ট ও ওয়ানডেতে অনেক চিন্তার সময় থাকে। যত বেশি চিন্তা করা হয়, তত জটিলতা বাড়তে থাকে। এখানে চিন্তার সময় নেই, জটিলতা বাড়ার সুযোগও কম। জিনিসটা সহজ রেখে কাজ করলে দুটি ম্যাচে ভালো খেলা সম্ভব।’
টি-টোয়েন্টির প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কমিয়ে আনে ছোট-বড় দলের ব্যবধান। দক্ষিণ আফ্রিকা যতই খেলুক নিজেদের কন্ডিশনে কিংবা পরিসংখ্যান যতই তাদের পক্ষে থাকুক, সাকিবকে আত্মবিশ্বাসী করছে এটিই। এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট-ওয়ানডেতে ফল যা-ই হোক, টি-টোয়েন্টিতে অন্তত ব্যবধানটা খুব বেশি থাকবে না দুই দলের—এটাই আশা বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের।
টি-টোয়েন্টির সেরা খেলোয়াড়দের একজনের কাছে এবার বাংলাদেশেরও উত্তর পাওয়ার পালা। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যে বাংলাদেশকে দেখা যাচ্ছে, দলটা এতটা খারাপ তো নয়!

0 Response to "সাকিবের ‌‘টি-টোয়েন্টি’"

Post a Comment

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel